ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

দুর্ঘটনার আশঙ্কা: চকরিয়ায় প্রকাশ্যে চলছে অবৈধ গ্যাস ব্যবসা

cnggasস্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :
চকরিয়া পৌরশহরে কোনো নিয়ম নীতি ছাড়া প্রকাশ্যে চলছে সিএনজি গ্যাস ব্যবসা। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে অনুমোদনবিহীন অবৈধ গ্যাস ব্যবসা। এভাবে খোলা আকাশের নিচে গ্যাস বিক্রি করায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আবার বড়ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া পৌরসভার স্টেশনপাড়ার বাসিন্দা স্থানীয় বিএনপি নেতা নাজেম উদ্দিনের মালিকানাধিন খোলা ট্রাক দাঁড় করিয়ে সিএনজি চালিত বিভিন্ন গাড়িতে গ্যাস বিক্রি করছে। ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায়ের পর এসব অবৈধ গ্যাস ব্যবসা বন্ধ করে দেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকার সুবাদে পৌরএলাকার গুরুত্বপূর্ন জনসমাগম স্থানে পুলিশকে ম্যানেজ করে জনবহুল এলাকায় দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ গ্যাস ব্যবসা।
প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকবার বন্ধ করলেও পরবর্তী সময় বিএনপি নেতা নাজেম প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পূনরায় এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যবসা চালিয়ে যেতে পুলিশ ও গুটি কয়েক অসাধু সাংবাদিকেও নিয়মিত মাসোহারা দিতে হচ্ছে তাকে। খোলাভাবে এভাবে গ্যাস বিক্রির কারণে বর্তমানে বিক্রয় এলাকাটি চরম ঝুকিঁর মধ্যে পড়েছে। ট্রাকের ওপর করে এভাবে গ্যাস ব্যবসা করতে তাঁদের হাতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রানালয়ের কোন ধরণের অনুমতিপত্র নেই। এমনকি পরিবেশ ছাড়পত্র বা ফায়ার সার্ভিসের নিরাপত্তা ছাড়পত্রও নেই। এরপরু অতিলাভের আশায় ঝুকিপূর্ন এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রশাসন ও সর্বসাধারণের দৃষ্টি আড়াল করতে ওই বিএনপি নেতা গ্যাসের সিলিন্ডার-ভর্তি ট্রাক দিনের পুরো সময় ত্রিপল মোড়ানো অবস্থায় রাখে। ফলে যে কেউ ট্রাকের ভেতর কি আছে তা সহজে অনুমান করতে পারে না। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে চলছে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবসা।চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, সিএনজি স্টেশন করার আগে ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরক লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু তার এসব কিছুই নেই। ট্রাক ভর্তি সিলিন্ডার থেকে যেভাবে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এধরণের অবৈধ এবং ঝুকিপূর্ন গ্যাস বিক্রিতে কোন লাইসেন্স দেওয়া হবে না বলে তিনি জানান।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাহেদুল ইসলাম বলেন, পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রি করার কারণে বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছিলো। অনেককে জরিমানা করা হয়েছে। এরপরও কেউ বিক্রি করলেও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: